BFE -র যাত্রা যে ভাবে

Section Breaker

BFE-র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড. তৌহিদ মিয়া রংপুর জেলার সদর থানার কামাল কাছনা গ্রামের কৃতি সন্তান । তিনি ১৯৮২-৮৩ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ৫১১ নং কক্ষে অবস্থান করেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরপরই তিনি দেশের সেরা কলেজসমূহ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি সমস্যার কথা অনুধাবন করে ১৯৮৩ সাল থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুহসীন হলেই ব্যাচে ব্যাচে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা শুরু করেন । এভাবে ১৯৮৫ ইং সাল পর্যন্ত হলের অভ্যন্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছিলেন এবং অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী কৃতিত্বের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ লাভ করে ।

পরবর্তীতে ১৯৮৬ ইং সনে যখন তিনি দেখলেন হলের অভ্যন্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের আসন আর সংকুলান হচ্ছে না, তখনই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহসিন হলের পার্শ্বেই অবস্থিত নীলক্ষেতস্থ ICMAB ভবনে UCC নামকরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন । উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । এভাবে হাটি হাটি পা পা করে UCC এর শাখা প্রশাখা আজ সারা দেশে বিস্তৃতি লাভ করছে । বর্তমানে সারা বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক শাখায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচছু ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে UCC-র আঙ্গিনা ।

BFE -র বৈশিষ্ট্যসমূহ

Section Breaker
  • UCC-তে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান বিভিন্ন বর্ষে অধ্যায়নরত অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী ।
  • লিখিত পরীক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে লেকচার শীট প্রণয়ন, নিয়মিত পরীক্ষা ও মডেল টেস্ট ।
  • অফলাইন ও অনলাইন ব্যবস্থায় সর্বাধিক সংখ্যক ক্লাস ও পরীক্ষা ।
  • প্রতিটি বিষয়ের উপর সপ্তাহে ১টি করে Regular Class
  • প্রতি সপ্তাহে English Solution Class
  • সকল বিষয়ের উপর সপ্তাহে ১টি Weekly Test
  • প্রতিটি বিষয়ের সকল ক্লাস সমাপ্তির পর Subject Final পরীক্ষার ব্যবস্থা।
  • মেয়েদের আলাদা /Combined ব্যাচের ব্যবস্থা।
  • সকল শাখায় একই লেকচারসীট অনুযায়ী যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ক্লাস পরিচালনা ।
  • বিশেষ কারণে ছাত্র/ছাত্রীরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে পরবর্তীতে অন্য ব্যাচের সাথে ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ।
  • ইনটেনসিভ কেয়ারে অকৃতকার্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্তদের নিয়ে একাধিক স্পেশাল ব্যাচ গঠন ।
  • ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী পাঠ্যসূচী নির্ধারণ এবং সে অনুযায়ী মান সম্পন্ন লেকচারসীট ও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ।
  • সম্পূর্ণ কম্পিউটারের মাধ্যমে কোর্স প্লান, লেকচার বিন্যাস, লেকচারসীট, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ।
  • প্রতিটি ক্লাসেই ৩০ মিনিটের Class Test এবং বাকী ৯০ মিনিট লেকচারের ব্যবস্থা ।
  • সপ্তাহে ২টি English Class.
  • বিষয়ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য সপ্তাহে ১দিন বিষয়ভিত্তিক Consulting Hour
  • ৩ লেকচার পরপর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ Evaluation Test
  • ক্লাস ও রিভিশন ক্লাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ ১২টি Model Test
  • সীমিত সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ব্যাচ গঠন ।
  • ভর্তি পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত কোচিং প্রদান ।
  • ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উপযোগী কোচিং প্রদান । অবশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গুচ্ছ পদ্ধতি অনুযায়ী সকল ইউনিটের জন্য কোচিং প্রদান ।
  • ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে UCC-কর্তৃক প্রকাশিত ১ সেট বই বিনামূল্যে প্রদান করা হয় ।

১ম ব্যাচসমূহে ভর্তি সুবিধা

Section Breaker

H.S.C পরীক্ষা চলাকালীন সময় থেকেই ১ম ব্যাচসমূহে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয় । ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাধ্যমে পরীক্ষা চলাকালীন সময়েই আমাদের ১ম ব্যাচসমূহে ভর্তি শেষ হয়ে যায় । রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন কলেজ, নটর ডেম কলেজ, সিটি কলেজ, হলিক্রস কলেজ, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, রাজউক কলেজ, ঢাকা কলেজ কমার্স কলেজ ও মাদ্রাসাসহ শীর্ষস্থানীয় কলেজগুলোর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ১ম ব্যাচসমূহের আসনগুলো দখল করে নেয় । এর কারণ ১ম ব্যাচসমূহের ছাত্র- ছাত্রীরা দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পেয়ে থাকে এবং স্বভাবতই BEST TEACHER গণ ১ম ব্যাচসমূহে নিশ্চিতভাবে যুক্ত থাকেন ।

কোর্স শেষে ছাত্র-ছাত্রীরা ভালভাবে রিভিশন দিয়ে দ্রুত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের লক্ষ্যে অনায়াসেই টিচারদের শরণাপন্ন হতে পারে; যা বিলম্বে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সম্ভব হয়ে উঠে না । কিন্তু ঢাকার বাইরের নামকরা বেশ কিছু কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন কারণে ১ম ব্যাচসমূহে ভর্তি হতে পারে না । সেজন্য এ বছর আমরা ঢাকার বাইরের ছাত্র-ছাত্রী এবং ক্যাডেট ও ক্যান্ট. কলেজগুলোর জন্য আলাদাভাবে ১ম ব্যাচসমূহে কিছু আসন রাখা হবে। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের শুরুতেই ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে হবে । প্রয়োজনে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতিতে অভিভাবক এসেও ভর্তি করাতে পারবেন । এ ছাড়া ১ম ব্যাচসমূহের আসনগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দমত সময়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে; যা পরে সম্ভব হয়ে উঠে না । ১ম ব্যাচসমূহের ক্লাস ব্যবহারিক পরীক্ষার পরপরই শুরু হবে ।